Friday, June 27, 2014

বালিকার প্রেমিক

আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো খোঁপার বাঁধন।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো বুকের আঁচল।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো অবৈধ ইঙ্গিত।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো ময়ুর নাচার মৌনতা।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো দেহ মনের জানালা।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো উরুদ্বয়ের গুরু সর্বনাশ।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো পদতলের আঁচল নিয়ে টানাটানি।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো খোলা মেলা শরীরের কারুকাজ।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো দীর্ঘশ্বাস বুকের নিঃশ্বাস।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো আলো ছায়ার আঁধার।
বালিকা ঘুমোওনি

ঘুমোন্তলা,
ঘুমোওনি সে আমি জানি
ঘুম ঘুম চোখে কত কথা মনে পড়ে
চুপি চুপি সারে রাত্রি নীল গগনে।

এই শোনও না,
বলো, শোনছি তো!
সবুজ ছায়ায় ঘেরা এই শুভ্র বিছানা
চারিদিকে রাত্রির নিটল নিরবতা
ঘন ঘন কুকুরের বিভর্ষ চিৎকার
সূক্ষজালের জ্যোৎস্নার আলো ছায়া
কেঁটে গেল দুজনার কত বেলা।

একটা আলাদা নিঃশ্বাস আলো আঁধারের বিশ্বাস
পাশাপাশি দুজনা কি শিহরণ! কি আলোরণ!
কি আশ্চার্ষ! আমরা দজনা খেটে খুঁটে ঘুম।

ঘুমোন্তলা,
ঘুমের নিবদ্ধ সাগরে বেভুলে তুমি এখন
তুমি আমি হব একা আকাশের নাই কোন সীমানা
একাকি একাত্বি অটবি অননে অন্য ভুবনে।

Thursday, June 26, 2014

বালিকা অভিলাষ

আমার চোখে মুখে ঠোঁটে
মসৃণ কমল অম্লান ত্বকে
ঘন ঘণ চুম্বন আমি এখন বেভূলন।

আমার লাল টকটকে কায়া ঠোঁটে
দীঘল কালো চুলের অরন্যে
ঝর্ণার জল শরীর শীতল করে।

আমার বুকের পাঁজরের আঁচল ছিঁড়ে
নরম মাংসের আরাম নিয়ে
আগুন জ্বাল মধু বনে।

আমার শরীরের শরম স্বাদ
হেলে দুলে আর মায়াপনা
আরাম আয়েশে কাঁটে তের মাস।

আমার সুখ আমার দুখ
টুটে গেল নরম মাংসের সুখ।













Wednesday, June 25, 2014

আউলা বাউলা বালিকা

আউলা চুলে বাউলা চোখে
ঘুড়ি উড়ে আকাশ নীলে,
উড়ছে পাখি দোলছে ঘুড়ি
কড়া নাড়ে রং মহলে।

আউলা গাঁয়ে বাউলা পথে
দুর সেতারা সুর তোলে;
ওরে সুখ ওরে দুখ
মিলে মিশে হয় সুখদুখ,
সদর দরজা রঙের মেলা।

আউলা সুখে বাউলা দুখে
অন্ধর মহলে বন্ধ গলি,
মাঝখানে তার ঝর্ণাধারা
দুই তীরে দুই নদী,
মাঝখানে আঁধার গলি
ঝর্ণার জলে বালা 
স্নান করে হয়েছে পূর্ণবতী।

আউলা সুখে বাউলা বুকে
উরু উরু সুখে দুরু দুরু বুকে।

সাত সকালে পাঁড়া গাঁয়ে
ধলা বালিকা পেকুম তোলে।
একাকি বালিকা

একাকি একাকিত্ব এই পৃথিরী
একাকি একাকিত্ব এই বাংলাদেশ
একাকি একাকিত্ব এই শহর
একাকি একাকিত্ব এই গ্রাম
একাকি একাকিত্ব এই মহল্লা
একাকি একাকিত্ব এই বাড়ি
একাকি একাকিত্ব এই ঘর
একাকি একাকিত্ব এই বিছানা
একাকি একাকিত্ব এই শয়ন
একাকি একাকিত্ব এই স্বপন
একাকি একাকিত্ব এই বালিকা

Tuesday, June 24, 2014

বালিকার বন্ধু

আমরা দু জনা
কয় দিন আগেও ছিলাম্
বালিক বালিকা;
এখন 
আমাদের সব জানা শোন।

ঝিনুকের উতাল পাতাল সুখ,
নারীলতা ফুলের সৌরভ,
বোঁটার আউলা বাউলা দুঃখ।

নারীলতা ফুলের পাপড়ির মৌন জ্বালা,
রেণু বণে শিশু ঘুমায়্ একেলা।

অতল মহাদেশ গতর স্বদেশ
অতলও দরিয়া ঢেউ তোলে।

আমরা দু জনা
সে যে এক জনা;
এক বালিশে মাথা রেখে
কেঁটে গেল স্বাদেরও বেলা।

বালিকা হও মেঘের ছায়া

বালিকা,
তুমি যখন সাবালিকা
এখনও জেগে আছ কেন?

ঘুম ঘুম চোখে ঘুম আসে না বুঝি!
ঘুমের দেশে যাবে ঘুমের ঐষাধ পাবে।
চোখের নীচে কালো কালো ছায়া
রাত্রি জেগে জেগে মেঘ ছোঁয়া
তোমার মাঝে এত কেন মায়া মমতা।

রাত্রিকে বলি,
তুমি করেছ কী?
বালিকাটিকে প্রেমের ডোরে ফেলে
তুমি নিয়েছ আমার কাছ থেকে কেড়ে;
সে কী বলেছে জান?
আর কখনও ঘুমাবে না
আমাকে বলে দিয়েছে সে।




খোলা মেলা বালিকা

খোলা ঘর খোলা জানালা
খোলা খোলা হাওয়ার বারান্দা।

খোলা খোঁপা খোলা বেণি
খোলা খোলা কালো চুল।

খোলা মুখ খোলা চোখ
খোলা খোলা মনো দর্শন।

খোলা আঁচল খোলা ভাঁজ
খোলা খোলা ঢেউয়ের কোন।

খোলা শাড়ি খোলা বাড়ি
খোলা খোলা মন যৌবন।

খোলা ব্লাউজ খোলা বোতাম
খোলা খোলা লাজ শরম।

খোলা ব্রা খোলা হুক
খোলা খোলা সব কড়ি।

খোলা বুক খোলা চোখ
খোলা খোলা ঢেউয়ের বাঁশি।

খোলা পেট খোলা পাড়
খেলা খোলা মনের হাসি।

খোলা নাভী খোলা নাভীমূল
খেলা খোলা চাঁদের রাশি।

খোলা কোমর খোলা ভাঁজ
খোলা খোলা সাদের হাটি।

খোলা পিঠ খোলা তিল
খোলা খোলা পিছন দিক।

খোলা নিতম্ব খোলা উচাটন
খোলা খোলা নাচে বিন।

খোলা সায়া খোলা ফিতা
খোলা খোলা ঝর্ণার জল।

খোলা উরু খোলা পা
খোলা খোলা ঝিনুকের মুখ।

খোলা হাওয়া খোলা বাতাস
খোলা খোলা মনের হাহুতাশ।






বালিকার মধ্যরাত

এখন মধ্যরাত চারিধারে অন্ধকার
মৃদু মৃদু হাওয়া সব কিছু একা একা।

আঁধারের মশারি আলো ছায়ায় ঘেরা আকাশ
শুভ্র বিছানায় তুমি যেন চাঁদের হাসি;
উচাটন বুক নীচাটন মৃদু নরম দেহ
চোখের ভেতর কেন আগুন জ্বাল?

মনে মনে বলি,
কেমন করে বলি!
তোমারে যে কী করে বলি?
এ যে আগুন পানির নীলা আভাস
কষ্টে দরজা
দুখের জানালা নেবে না!
গায়ের পর্দা গায়ে রাখতে পারি না।

খোলা ঘর ঘোলা জানালা
খোলা খোলা দেহ মন প্রাণ
মন করে আনচান সারা ঘর।


বালিকা বধূ

বধূ বালা কোথায় যাও এত তাড়া!
আমি এক পথ ভূলা,
মায়ারও বাঁধন ব্যথা করি বিতরণ।

বধূ বালা নিতে পার ষোল কলা
সর্ব শরীর জীবন্ত আমি এখন ঘুমন্ত
ঘুমের ভেতর বলি কেমন করে জানি!

বধূ বালা খোঁপার আঁচল খোল না,
হাতের তলে হাত খাঁটি ভালোবাস থাক
ওষ্ঠ-অধরের লালা মধুর মতো লাগে আমার।

বধূ বালা গোপন আর থেক না
আমার ভেতর আমি তোমার ভেতর কে তুমি
খুঁজব নাড়ব খুঁজে দেখি একটু খানি।

বধূ বালা চুলের গোছা একটু সামলাও
দীঘল কালো চুল বাতাসে খায় দুল
এলোমেলো শাড়ি আঁচলে মুখ মুছি এখন।

বধূ বালা কিছুটা কি ঢেকে রাখা যায় না?
এত বড় চোখ ফঁটে আছে সুখ!
সুখের সময় মন্দা যায় রে আমাদের।

বধূ বালা কি যে হলো ভূলা তো যায় না!
যুগল অরণ্যে ঝর্ণার জলে স্নান শেষে
ঘুমিয়ে থেকে ভুব দেও প্রাণ অনলে।

সেই বালিকা

সেই বালিকা
আমার মনের সেই বালিকা
কবে হবে তুমি হবে
আমার মনের মতন।

মুখে তোমার হাসি বুকে তোমার খুশি
ত্যাগে ভরা মন তোমার
এটা হতে হবে তোমার কঠিনও পণ।

আসিলে বিপদ হও হা....কে....
শরীরে কি রক্ত মাংস প্রাণের অভাব
বালিকা তোমার সবই আছে মিছে কেন এত ভয়?

চেতনা আছে যার সে কি পড়ে থাকে আর?

চোখে যার জল মুখ তার অবিচল
মনে প্রাণে খাঁটি সে যে সবুজের চেয়ে খাঁটি।



টোকাই বালিকা

টোকাই টোকাই টোকাই
টোকাই বালিকার মন,
টোকাই বালিকার আঁকা একটি ছবি;
আঁকতে যদি পারি টোকাই বালিকার ছবি।

টোকাই একটি নদী
টোকাই একটি পাহাড়
টোকাই সাদা মেঘ
টোকাই ঝর্ণার জল
ডানায় ডানায় উড়ে যাওয়া।

টোকাই একটি বালিকা
টোকাই শেষ দুপুরের হাওয়া।

টোকাই যখন বালিকার মন
তাকিয়ে থাকি বালিকার রংঙিন শাড়ি।

Monday, June 23, 2014




চৌতালি বালিকা

চিড়তা বনে চৌতালি হাওয়া
লেগেছে মোর সারা গায়ে।

চৈত্র মাসে চরিত্রহীন বালিকা
লাজ লজ্জা শরম বিলিয়েছে ধূলি।

নারী লতা ফুলের দৈত ফলে
বোঁটার আগমন ঘটেছে নারীলতা বনে।

মৌমাছি মধু করে আহরণ
মৌ বালিকার মজা এখন।

ঘাস ফুল ছেয়ে গেছে গাছটা
বালিকাবতীর আসল সাধের অমররতি।

অতলা আমি একলা বালিকা

অতলা, আমি যে উতলা;
বলো শুনি।

আমি ষোল।
তুমি যে কত?
ষোল ষোল ষোল 
ষোল কলা বলো।
ষোল না হয় তো তেব;
জ্বালাস না যে খেপাস না;
দিন নাই, রাত নাই;
ষোল কলা পাষাণ।

আমি শুই অতলা তুমি বসো;
এই! এই নতজানু যা।
চার দেয়ালের আবডালে পুড়ে,
লাজ লজ্বা শরম।

জ্বালাস না রে পুড়াস না রে,
জানটা ধরে রাখ - তরতরে তাজা,
যেমনি অন্ধকার তেমনি গরম ভাব,
হাওয়াটাও হয়েছে কেমন!
মনের মধ্যে অন্ধাকারের শীতল তাপ।




একলা বালিকা

তোমার আমার কত বেলা
কেটেছে একা একা একলা থাকার সময়
এখন ইচ্ছে হলে
দু হাত মেলে তোমায় ছুঁতে পারি
পা বাড়ালে তোমার দেখা পেতে পারি।

একলা থাকা বালিকা্
এখন ইচ্ছে হলেই
তোমায় দেখতে পারি
তোমার আঁচলের তলে কিছু মসৃণ নগ্নতা
ব্লাউজের বোতাম খোলা বুক
ক্রিম রঙের ব্রা
চোখের কোণে হালকা ঘুম।

একলা থাকা বালিকা্
অমার ইচ্ছে হলেই
তোমার ঘরের দরজা খুলে
তোমার কাছে আসতে পারি।
আমার ইচ্ছে হলেই
তোমার শরীর আলগা করে দেখতে পারি।
তোমার ঘরের পর্দাটা খুলতে পারি
আরো খুলতে পারি উপরের ভেন্টিলেটর
নীচের ভেন্টিলেটর কাঁজলের কৌটাদারি।

এখন ইচ্ছে হলেই
তোমার চুলের মৌবনের সুবাস নিতে পারি
এখন ইচ্ছে হলেই 
এক বালিশে মাথা রাখতে পারি।



Sunday, June 22, 2014

বালিকার মৌনতা

মৌনতা, 
তুমি কি এখনও বালিকা?
সে তো আমি জানি না।

মৌনতা,
তুমি এখনও কি কথা ভাব?
সে তো তোমাকে বলা যাবে না।

তোমার পাশে সে কে?
তুমিই বল আমি জানি না।

তোমার ঘুম নাই চোখে মুখে
ঘুম কেড়ে নিয়েছে সে কে?
মন ভালো নাই এখন কেন?

মুখময় নিয়নিতর নিরবতা
মুখাসন মায়াবি অতল
হাত বাড়ালে অম্লতা ঝড়ে
পা বাড়ালে শিরশির করে কাঁপে
চুলের অরণ্যে চোখের নোনা জলে।

আগুন পানির খেলা আমাদের মনে
এসেছে আগুন নেছে উঠে ফাগুন।

অম্ল বৃষ্টি ঝড়ে স্যাঁতসেতে অরণ্যে
নেষার ধুম মনের চাপ হয় দ্বিগুন।

মৌনতা নেচে যা আর যে পারি না
শেষ হবে আমাদের স্বাদের এখন।

মৌনতা,
তুমি কি এখনও বালিকা?
চৈতালি হাওয়া বইছে আমার গায়ে
সে যে অম্লকান্তির চৈতন্য দুপুরে;
মন ভরেছে এখন মন যে যেমন তেমন।

চৈতালি হাওয়া বইছে আমার গায়ে
সে যে অম্লকান্তির চৈতন্য দুপুরে।


Friday, June 20, 2014

বালিকার সভাব

বালিকা
তুমি এখন সাবালিকা
কিছু কথা বলি
শোন।

তোমার খোঁপা ভরা একগুচ্ছ
মেঘের মতো দীঘল কালো চুল
সিঁথিতে একটা কালো তিল।

মুখমন্ডল মুখোমুখি লাজ লজ্জা শরম
মুখময় ভরাট পানপাতার ছাপচিত্র।

চোখের কোণে মায়া মমতা
নীলা ভরা আগুনের নীলা চোখ।

বক্ষ পাঁজরে ভরাট হাসি
দুই বোন পাশাপাশি
মিলেমিশে থাকে
হাসি আর খুশি।

শাড়ির পাড়ে চাঁদের রাশি
নাভী মূলে চাঁদের কলঙ্গ বুঝি।

শায়া শাড়ির নীচে ঝিনুকের বাস
বালু খেয়ে গড়ে মুক্তার হার।

বালিকা
তুমি এখন আবার বালিকা
শোন, আমার কথা শোন।

Thursday, June 19, 2014

বালিকা তুমি

বালিকা, তুমি যখন নারী;
তোমার ভরাট উচাটন বুকের পাঁজরের,
উৎতপ্ত দুইটি সাদা আগুনের কুন্ডিলি।

আমি জানালার নগ্ন পর্দার আবডালে;
তোমার শরীরের উৎতাপ দেখার জন্য,
তখন হাঁটু জলে নাইতে নামি;
শরীরের উৎতাপ সামলাতে।

তুমি যখন শাড়ির আবডালে;
শাড়ি ন্যায় রঙের ব্লাউজ,
কাঁচুলি আবডালে লুকানো,
দুখানি নগ্ন ভরাট বুকের,
মধুমাখা খোাঁপা;
ব্লাউজের নীচে থেকে একটু একটু খুলছিলে;
পর্দার জ্যোস্নার আবডালে দন্তায়মান আমি।

এক আলোকিত ধবধপে সাদা মসৃণ নগ্ন চাদর;
ধুসর কালো মৃদু আকাঙ্খার অন্ধকার,
তোমার উৎক্ষিপ্ত উদ্ধেলিত,
খোলা ভরাট আকাঙ্খার ঢেউ,
চাঁদের ন্যায় সাদা মাংস পিন্ড।

তুমি অন্ধকারে আলোকময় আঁধারে
সর্বস্ব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ খুলে দিলে।

আমার উমুক্ত বুকের নগ্ন পাঁজরে;
তোমার শরীরের দশ দিগন্তে-
জোড়া তালি দিয়ে-
অম্লান ঢেউ জেগে উঠে।

আমার চোখের উতাল পাতাল আকাঙ্খার তপ্ত জ্বালা
একদিন কামড়ে ছিঁড়ে মিটাই রক্তের তৃষ্ণার উষ্ণতা।





 
বালিকা কখনও হয় সাবালিকা

বালিকা তুমি এখন সাবালিকা।
কী ভাবছ? নীল রাত্রি সাথে শুয়ে
একা একা একাকিত্বের অরণ্যে।

ঘুম নাই চোখে মনের গহিনে,
রাত্রি জেগে রাত্রিকে কর নির্ঘুম,
শুধু শুধু ভাবনা সাগর পাড়ি দেওয়া।

তোমার চোখের পর্দা খোল,
মনের জানালা খুলে দাও।

দেখ! পাশের ঘরে নীল অন্ধকারে,
তোমার আপন বোন তোমাদের তরে,
অন্ধকারে নীল নীল যন্ত্রণায় কাতর।

তোমার আপন বোনের প্রেমিক খেয়ে গেছে মধু;
সেই শোকে বেঁচে নিয়েছে অন্ধকার দুনিয়ার সর্বস্ব।

ও ঘরে দেখ!
তোমার মায়ের আলাপ চারিতা,
ছোট বেলার প্রেম জেগে উঠেছে,
চল্লিশ বছর বয়সে।

তোমার বাবার সময় কাটে বান্ধুবিদের ডিনারে;
তার রাত কাটে নেষার ঘোরে।

তোমার পাশের বাড়ির ছেলেটি;
তোমার অপেক্ষায় অধির,
তার কী নেই অন্য কোন প্রেমিকা?

বালিকা চোখ খুলে দেখ
নিজের বুকে হাত রাখ;
কাল কাল গেল কালো রাত্রি।

তোমার জীবনে কী আসবে না,
কালো রাত্রির সুদিন?

বালিকা তুমি এখন সাবালিকা;
তুমি কি এখনও ভাবছ আর?

Wednesday, June 18, 2014

অতলানিন্দ্রা

অতলানিন্দ্রা!
ঘুমিও না এখন।
এই শোন! চুপিচুপি বলি শোন,
কান পেতে রাখ।

তুমি কি আমার মনের ভাষা বুঝ?
রাতের কাছে বলি, তুমি শোন।
হাঁটু জল করে বুকের মধ্যে টলমল,
লেগে গেছে জলের সবুজ শেওলা,
জলে তা ধোয়া যায় না।

মিহি সুতার শুভ্র বিছানা,
চাঁদের আলোয় আলো-ছায়ায় মাখামাখি;
দুজন দুজনা মিশে আছি আদি একজনা।

এতক্ষণ পাশাপাশি ছুঁয়ে দেখি তোমার আঁখি,
সৌদ তাঁরা অর্ধরাত্রি কেটে গেছে দুজনার।

বহুক্ষণ মুখোমুখি মুখাসন
একবার আঁখি মেলে দেখি।

চোখে চোখ রাখি মনে মনের কথা বলি শোন;
একটু একটু করে খুলছিলে চোখের পাপড়ি,
তুমি যখন নীল শাড়ি অমি তখন আড়ি পেতে দেখি
শাড়ি আবডালে খুলছিলে শুভ্র বিছানার নীল চাদর।

আমার হাতে তোমার হাত সব কিছু ভুলে থাক
বুকের পাঁজরে করে ধুক ধাক তবলা নাচ।





চাম্পা ভাবি

ভাবি ভাবি চাম্পা
ভাবির চুল লম্বা।
চাম্পা ভাবির লম্বা চুল
ভাবির নাকে নাক ফুল।
চাম্পা ভাবির নিতম্ব দোলে
দেবররা সব ঢোক গেলে।
চাম্পা ভাবি নামল নাইতে
বুকের আঁচল গেল খসে।
ওরে তোরা দেখে যায়
চাম্পা ভাবি গোসল করছে একা।
চাম্পা ভাবির ভিজা শাড়ি
তোরা সব কোথায় গেলি।
চাম্পা ভাবি যাচ্ছে একা
পথের ধূলা সব কাঁদায় মাখা।
চাম্পা ভারি গেল কোথায়
আমরা সব পথ ভূলা।




মিস বালিকা

মিস বালিকা!
নিজের খবর কতটুকু রাখেন,
কাপড়ের মাপটা তো ভালোই জানেন,
বুকের ইঙ্গিত কী আপনি বুঝেন?
মনের ইশারা তো ভালোই করেন।





Tuesday, June 17, 2014

হে বালিকা

অতন্দ্রিলা! ও হে বালিকা।
এতদিন পরে মনে পড়ল বুঝি।
মনে পড়বে না কেন,
তবে কী জানো পেড়ে উঠি না?

বলো তোমার কথা বলো।
আর বলো না,
গরম হাওয়ার বিভ্রাট চলছে ঘন ঘন;
দিন নেই, রাত নেই,
গরম হাওয়া জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে।

বলো কী? এ দেখছি কঠিন অবস্থা!
অার বলার রাখছ কী?

আমি শুনব!
এই কী করছ কী?
করব আবার কী!
মোমবাতি খুঁজি।
জ্বালাবে বুঝি।
জ্বালাব না নিভাব।
কেন কেন?
কিছুই বুঝ না।
ঘামছি ভেজে গেছি,
দাঁড়াও! কাজ সেরে নেই।
বুকের আঁচলটা খুলে দেই,
ব্লাউজের বুতাম খুলতে পারছি না তো।
টেনে ছিঁড়ে ফেল।
কিনতে পয়সা লাগবে না বুঝি।

ঘরের দরজা জানাল খুলে দাও,
পর্দাটাও সরিয়ে রাখ।

আজকাল হাওয়াও অন্ধকারে হাওয়া হয়ে যায়
যেমনি অন্ধকার, তেমনি দেয় ছুঁট।

ভালো ভালো আরো মিষ্টি করে বলো।
গায়ে শায়া ব্লাউজ ব্রা রাখতে পারি না।
রাখার দরকার কী?
পারলে নগ্ন থাক।
সেটা্ও তো করতে পারি প্রতিবেশী দেখবে না বুঝি,
তোমার বুকের লাজ শরম সব গেছে বুছি।
যেমনি তোমার উতাল পাতাল ভাবনা;
তেমনি আমার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শরীর।


গ্রামীণ বালিকা

মাথার ঘোমটা, চুলের বেনি,
বুকের আঁচল, লাজ-লজ্জা-শরম।
শায়া ব্লাউজ শাড়ি ব্রা,
গায়ের কাপড় কিছুই রাখতে পারি না।

অন্ধকার তো হে সর্বস্ব খোলা
দাঁতের দংর্শন, নখের আঁচড়,
জিহ্বার লেহন, নাজ লজ্জা শরম;
গায়ের জা্লা কিছুই সহ্য হয় না।

অন্ধকারের ছায়া যখন শরীর
আবডাল করে রাখে একটু একটু করে
জ্যোস্নার শরীর কাঁপছিল দেহটা নেচে উঠে
চারিদিকে নিরবতায় ছেয়ে গেল।

মেঘ বালিকা

মেঘ বালিকা
নাম তো তোমার মেঘ মালা
জানি ঘুমের মধ্যে তুমি ঘুমাওনি
তাই তো বলি চুপি চুপি শুনি
রাত্রির কাছে শুনি কান পেতে রাখি।

মেঘ বালিকা
নাম তো তোমার মেঘ মালা
তোমার শাড়ির আবডালে মায়াজালের মশারি
জ্যোস্নার আলোয় ছাওয়া শুভ্র বিছানা
একটু একটু করে শরীরটা খোলা জানালা।

মেঘ বালিকা
নাম তো তোমার মেঘ মালা
একবার দু'চোখ খুলে দেখ মুখোমুখি নিঃচুপ
খোলা বুক খোলা বুতাম ব্রার হুক
শাড়ির পাড়ে ব্লাউজের নীচে কিছু মলিন নগ্নতা।

মেঘ বালিকা
নাম তো তোমার মেঘ মালা
অন্ধকারে উতাল পাতাল সর্বস্ব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ খোলা
গা-গতর জ্বলে পুড়ে শরীরের আনাচে কানাচে কী যে করে
চুলের অরণ্যে দশ দিগন্ত হেলে দুলে চলে আর মরে।
আর কতটুকু বালিকা

কতটুকু চেয়েছিলে বালিকা!
কিছুটা সংকোচ খানিকটা ভালোবাসার সু-ইঙ্গিত
দরজাগুলি বন্ধ থাক জানালাগুলি খোলা থাক
কিছুটা অন্ধকার পর্দাটা খোলা থাকুক।

কতটুকু চেয়েছিলে বালিকা!
আয়নার সামনে বুকের কাপড় আলগা করে 
নিজের শরীর নিজে খুঁটে খুঁটে দেখা
মনের বেদনাটা জ্বলে উঠুক সর্বস্ব খোলা থাকুক।

কতটুকু চেয়েছিলে বালিকা!
উতাল পাতাল শাড়ির ভাঁজে ফোলা চেড়া বুক
বুকের পাঁজরে নড়েচড়ে সুখে থাক
কোন পুরূষ আমার দিকে চেয়ে থাকুক।

কতটুকু চেয়েছিলে বালিকা!
তোমার ভেতরে তুমি আমি কী তোমাকে চিনি
একজন সুপুরূষ ঝর্ণার জলে পাষাণ হৃদয়ে
আমাকে লুণ্ঠিত হবার আহবান করুক।
মেয়েটি কী পেয়েছে

 মেয়েটি কী পেয়েছে এখানে
এত কাল খেটে খুটে?
একটা ছোটখাট ঘর সীমাহীন অন্ধকার
দুইখানা খোলা দরজা
দুইখানা খোলা জানালা
চারখানা শুভ্র পাতলা পর্দা
যা নিজেকে ঢেকে রাখা যায় না
আলো আাঁধার করে ছায়ার আরাধনা।

মেয়েটি কী পেয়েছে এখানে
এত কাল খেটে খুটে?
একখানা ছোটখাট স্নান ঘর
একখানা ঝর্ণার শাওয়ার
জীবনের যত সব ময়লা
ধোয়া মোছা করা যায় না।

মেয়েটি কী পেয়েছে এখানে
এত কাল খেটে খুটে?
চাচাত ভাইয়ের কাছে প্রেমের কু-ইঙ্গিত
ফুফাত ভাইয়ের কাছে বিছানায় শুয়ার কু-ইশারা
মামাত ভাইয়ের কাছে বুকে-পিঠে হাত মারা খাওয়া
খালাত ভাইয়ের কাছে সর্বস্ব লুন্ঠিত হওয়া।

মেয়েটি কী পেয়েছে এখানে
এত কাল খেটে খুটে?
বাবা-মায়ের কড়া কড়া শাসন
ঢিলাঢেলা পোষাক সঠিক মাপঝোপ
বড় বোনের সাথে চুল টানাটিনি
আড়িপেতে শোনা বোনের ফোনালাপ
বাবা মায়ের অতীত কাহিনী।

মেয়েটি কী পেয়েছে এখানে
এত কাল খেটে খুটে?
মায়ের প্রেমিক নাদুস নুদুস নুরু মামা
বাবার প্রেমিকা নীলাবিলা নীলা খালা
মধ্য রাতে বাবা-মায়ের এলোমেলো হাওয়া
মায়ের বুকের সুমিষ্টি গন্ধ পাওয়া
মা-বাবার অন্ধকারে আ উ আ গোংড়ানি।





এলো মেলো চুল

এলো মেলো চুলে দখিনা হাওয়া
জেগে ওঠে বেদনার ঘুমন্ত বেলা।
অকারণে বিরহের মন জ্বালা
হাসি মুখে প্রলাপ বকে সাজেরও বেলা।





বালিকা বধূ

বালিকা বধূ
খোঁপা খসে দোলে চুল
মধু বনে বধূ সনে।

এক গুচ্ছ ঘন কালো চুল
খোঁপা ভরা ঘন কালো চুল।

মেলে রাখা চুল বাতাসে খায় দোল
কালো চুলের অঙ্গে মন যে কেমন করে।


কোথাও কেউ নেই

কোথাও যাচ্ছ বুঝি?
-যাচ্ছি না তো ভালোবাসা খুঁজছি বুঝোছ।
কেনইবা কীবা কারণ?
-এটা এতটাই কষ্ট
সে তুমি বুঝবে না।
জেদ করেছ ভালোবাসার কাছে যাবে?
-যাব তুমি আমাকে নিয়ে যাবে।
জিজ্ঞাসা করে দেখি বেলা এখনও শেষ হয়নি?
-উহু বুঝিছি তুমি দেখছি ভিষণ একা
জলজেন্ত বোকাসোকা পয়লা নম্বার ধোকা।
একা না ধুততুরি ছাঁই - মিলে না আর?
-দেখ মেঘ করেছে এখনি নামবে বৃষ্টি
এসো ভালোবাসা আলগা করে বৃষ্টিতে স্নান করি।
এতে কী তোমার পোষাবে?
-গাঁ গতর ভেজে ভালোবাসা মুছে যাবে।
তবুও তো কী ভালোবাসা শুদ্ধ হবে?
-তুমি যখন বলছ স্নান করেই দেখি
দেখ মেঘের কণায় ভেজে শরীর।
চোখের কোনে এখন ঘুম ঘুম ভাব বুঝি?
-শীতল মন শীতল শরীর
তাই তো তোমার কাছে ভালোবাসা গল্প করি।
ভালোবাসা নাগাল পেয়েছ বুঝি?
-ওই সেখানে তার ভালোবাসার ভিষণ সংকট
তাই এখন ভালোবাসা থাকে ওই আকাশে।